রংগীখালীতে জোড়া খুন মামলার আসামীদের অত্যাচারে অতিষ্ট বাদীর পরিবার

বিশেষ প্রতিবেদক :

রংগীখালীতে জোড়া খুন মামলার আসামীদের অত্যাচারে অতিষ্ট বাদীর পরিবার সহ সাধারন মানুষ: টেকনাফ উপজেলার নীলা ইউনিয়নের রংগী খালী গ্রামে জোড়া খুন মামলার আসামীদের ক্ষমতার দাপট ও বাহুবলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে বাদীর পরিবার সহ সাধারণ মানুষ।

ক্ষমতাসীনদলের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা রীতিমত সাধারন মানুষদের হয়রানী করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এলাকা চরমভাবে অশান্ত হয়ে ওঠতে পারে বলে মন্তব্য স্থানীয়দের।

এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যমতে একসময় নীলা ইউনিয়নের রংগীখালী গ্রামটি ছিল অত্যান্ত শান্তিপুর্ন।এলাকাবাসীর মধ্যে একটা সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন অটুট ছিল। কিন্তু সেই বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায় একই পরিবারের ২ জন মানুষ কে দিন দুপুরে খুন করার কারনে।একটি জোড়া খুন বদলে দেয় এলাকার সার্বিক চিত্র।

এলাকাবাসীর মধ্যে বয়ে চলা সম্প্রীতি বন্ধন নিমিষেই রুপ ধারন করে সংঘর্ষের।শুরু হয় শত্রুতা। বিনা কারনে ২০১৩ সালে দিন দুপুরে ছাবের আহমদের পুত্র ছৈয়দুল আমিন ও আবদুল মজিদের পুত্র শাহজালাল কে রাস্তায় মটর সাইকেলের গতিরোধ করে হত্যা করে একই এলাকার বেলাল উদ্দিন,হেলাল উদ্দিন,নুরুল অলম, মকবুল আহমদ,মিজানুর রহমান, কবির আহমদ, সব্বির আহমদ,গুরা মিয়া ,গিয়াস উদ্দিন ,ফয়সাল,আবছার উদ্দিন,নাছির উদ্দিন, আসকর আলী,রাসেল উদ্দিন মফিজুর রহমান,রিদুয়ান রহমান ,মিজানুর রহমান কালু,সরওয়ার কামাল,আবদুর রহিম, আবদুর রহমান বাঘু,লুতফুর রহমান,আহমদ হোসাইন বদাইয়া,রশিদ আহমদ, জয়নাল ,আবদুর রহমান আবছার, সরওয়ার, আবদুল্লাহ,ও আবদুল আজিজ সহ আরো ১০/১৫ জন।

তাদের বিরোদ্ধে ১৪৩,১৮৭,৩০২,১০৯,১১৪,৩৯ ধারায় মামলা দায়ের হয় টেকনাফ থানায়। যার মামালা নং ১৭/২০১৩।এই হত্যাকান্ডের মদদদাতারারও প্রভাবশালী হওয়ায় মদদদাতাদের সাথে আসামীরা পরস্পর আতাত করে আইনের ফাকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে পুনরায় এলাকাকে অশান্ত করে তুলতে নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে।তাদের ষড়যন্ত্রের কবল থেকে রেহায় পাচ্ছেনা জোড়াখুন মামলার বাদীর পরিবার। বাদীর পরিবারের অনেক সদস্য বাংলাদেশের অইনশৃংখলা রক্ষায় অবদান রাখার গর্বিত আনসার বাহিনীর সদস্য ছিল।অথচ এখন কুচক্রী ও হয়রানী বাজ ব্যক্তিরা প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে বাদীর পরিবারের উপর নানা অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এখন বিভিন্ন মামলার বোঝা কাধেঁ নিয়ে ফেরারী জীবন যাপন করছে।অথচ মামলার আসামীরা ইয়াবা সহ নানা রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডে জড়িত,তাদের নামে আরো বিভিন্ন মামলা ও রয়েছে।তবুও আসামীরা এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বাদীর পরিবার কে র্টাগেট করে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।

এমতাবস্থায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা চায় জোড়া খুন মামলার বাদীর পরিবার।